রবিবার, ৮ মে, ২০২২

Ashraful Makhlukat attend Southern University’s second convocation on March 27, 2022

 Southern University’s second convocation on  March 27, 2022

At the event, 10 students will be honored with the Chancellor’s Award, 39 with the Vice-Chancellor’s Award, and 38 with the Dean’s Award.

Southern University Bangladesh (SUB) is going to hold its second convocation on 27 March at its permanent campus in the port city.

Deputy Education Minister Mahibul Hasan Chowdhury, with the permission of President Md Abdul Hamid, also Chancellor of the university, will preside over the convocation.

Computer scientist, educator, author and columnist, Professor Mohammad Kaykobad will attend the programme as the convocation speaker, said Pro Vice-Chancellor Prof M Mohiuddin Chowdhury at a press conference held at the Chattogram Press Club on Thursday.

7,853 successful students including graduates and postgraduates holders will be granted their degrees at the convocation. Ten of them will be honored with the Chancellor's Award, 39 with the Vice-Chancellor's Award, 38 with the Dean's Award, and nine others will be recognized for their outstanding results and academic excellence.

SUB Vice Chancellor Prof Engineer Md Mozammel Hoque will also address the graduating students at the convocation.

Professor M Mohiuddin, also co-convener of the 2nd Convocation organising committee, said the university has gained the confidence of all despite many hurdles, with their successful educational programs. 

The university has IEB and Pharmacy Council accreditation in recognition of their quality in higher education, he added.

Chairman of the Board of Trustees, Khalilur Rahman, members of the Board of Trustees, academics, politicians, journalists and high ranking persons of various departments will also be present at the event.

About 10,000 students have already graduated from the university and about 4,500 students, including foreign nationals, are currently enrolled in various departments of the university.

Article Source: The Business Standard


Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat
Ashraful Makhlukat


Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat
Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat


Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat


Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat



Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat



Ashraful Makhlukat








Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat





Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat



Ashraful Makhlukat


Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat

Ashraful Makhlukat



বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ, ২০২১

সমস্যা সমাধানকারী হয়ে উঠুন

আমাদের প্রতিদিনের জীবনে আমরা বিভিন্ন রকমের সমস্যার সম্মুখীন হই। সমস্যায় ভেঙ্গে না পড়ে সঠিকভাবে যদি আমরা মোকাবেলা করতে পারি অবশ্যই সাফল্য অর্জন করতে পারবো।আজ আমরা জানবো কিভাবে সমস্যা সমাধানকারী হয়ে ওঠা সম্ভব। বিশিষ্ট আমেরিকান ব্যবসায়ী ট্রাভিস কালানিক বলেন, প্রতিটি সমস্যার একটি সমাধান রয়েছে আপনার এটি সন্ধানের জন্য যথেষ্ট সৃজনশীল হতে হবে।


সমস্যা চিহ্নিত করুন

সমস্যা সমাধান করার সর্বোত্তম উপায় হলো আগেই নির্ধারণ করা যে আপনি কি সমাধান করতে চাচ্ছেন। এই কথাটির অর্থ হচ্ছে পরিস্থিতি পুরোপুরি পর্যালোচনা করতে সময় নেওয়া এবং সমস্যার কারণগুলি থেকে সমস্যার লক্ষণগুলি পৃথক করা । উদাহরনসরুপ বলা যায় আগে আপনাকে জানতে হবে আপনার শরীরের কোন অংশে ব্যাথা এবং তারপর আপনাকে নির্নয় করতে হবে কেন ব্যাথাট হয়েছে। সমস্যা চিহ্নিত করতে অবশ্যই কিছুটা সময়ের প্রয়োজন, সমস্যা চিহ্নিত করার আগেই এর পিছনের কারণগুলো আপনাকে অনুধাবন করতে হবে।


মূল কারণগুলি নির্ধারণ করুন

আপনার সমস্যাটি কি তা শনাক্ত করার পরে এটি কেন হয়েছে তার কারণ আপনার খুঁজে বের করতে হবে। নিচে প্রশ্নের মাধ্যমে মূল কারণ খুঁজে বের করার প্রক্রিয়াটি দেখানো হলো।

·        সমস্যার পিছনে কি কারণ আছে?

·        কি কারণে এটি ঘটছে?

·        এটি কি পরিমাণগতভাবে বা গুণগতভাবে নির্ধারণ যোগ্য হতে পারে?

·        মূল স্তরে কি চলছে?

আপনি যখন নিজের সমস্যা সমাধানের দিকে কাজ করছেন,  তখন আপনাকে এমন একটি সমাধান খুঁজে বের করতে হবে যা কেবল লক্ষণগুলি নয়, কারণগুলির সাথে সম্পর্কিত। তাই আবার পরিস্থিতি তদন্ত করার জন্য সময় নিন। তথ্য সংগ্রহ করুন, আপনার অনুসন্ধানগুলি বিশ্লেষণ করুন এবং আপনার সমস্যা নির্ণয়কে আরও পরিমার্জন করুন।

একটি সমস্যার একাধিক সমাধান সন্ধান করুন

 একজন সফল সমস্যা সমাধানকারী হওয়া মানে উদ্ভাবনীভাবে চিন্তা করার পাশাপাশি আপনাকে গতানুগতিক রীতির বাইরে চিন্তা করতে হবে ইংরেজীতে যেটিকে বলে (Thinking Out of The Box) । সমস্যার প্রথম সমাধান খুঁজে পেলেই কার্যক্রম বন্ধ করবেন না। আপনাকে আরো ভিন্ন সমাধান অনুসন্ধান করতে হবে, কারণ আপনার প্রথম সমাধানের অনেক দূর্বলতাও থাকতে পারে। যতটা সম্ভব বিকল্প সমাধান সন্ধান করুন। এবং তারপরে আরও কিছু সন্ধান করুন। এর অর্থ হতে পারে অস্বাভাবিক জায়গাগুলিতে বা অস্বাভাবিক উত্সগুলি থেকে সমাধানগুলি অনুসন্ধান করা - সহকর্মীদের সাথে কথা বলা, চোখ কান খোলা রাখা  বা পরিবারের সদস্যদের থেকে পরামর্শ নেওয়া। যাই হোক না কেন, একবার আপনার কাছে যদি একটি সমস্যার একাধিক বিকল্প সমাধান থাকে তাহলে আপনার মূল সমস্যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে।  

কোন সমাধানটি সর্বাধিক কার্যকর হবে তা সন্ধান করুন

 যেকোনো বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা সহজ কিন্ত কাজটি বলা সহজ করা কঠিন। আপনার কাছে অনেক সমাধান থাকতে পারে, কিন্তু আপনাকে সর্বাধিক কার্যকর খুঁজে বের করতে হবে। আপনার সমস্যাটির সমাধান কতটুকু কার্যকর হবে সেটি প্রশ্নগুলোর উত্তরের মাধ্যমেই জানতে পারবেন।

·        আপনার সমাধানটি কি প্রযুক্তিগতভাবে কার্যকর?

·        আপনার সমাধানটি কি গ্রহণযোগ্য কাঠামো অনুসরণ করে?

·        সমস্যা সমাধান করার প্রয়োজনীয় সম্পদ কি আপনার আছে?

·        সমাধানটির ঝুঁকি কি কি? সেগুলি কি পরিচালনা করা যায়?

·        আপনার সমাধানটি বেশি লোকের উপকার করে?

·        সমাধানটির ফলাফল কি পরিমাপ করা যায়?

·        আপনি এটি পরিমাপ করবেন কিভাবে?

উপরোক্ত সব প্রশ্নগুলোর উত্তর যদি ইতিবাচক হয় তবেই আপনার সমাধানটি গ্রহণযোগ্য অন্যথায় বিকল্প সমাধানটি সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে যদি সেটি ইতিবাচক হয় শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই গ্রহণযোগ্য হবে। 



আপনার সমাধানটির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করুন

এই অংশটি নিয়ে প্রচুর চিন্তাভাবনার প্রয়োজন আছে । আপনার সমাধানটি কার্যকর করতে একটি নিখুত পরিকল্পনা তৈরি করুন। আপনার পরিকল্পনাটি কে, কখন, কখন এবং কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন তা আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে।

আপনার সমাধানটি সফল হয়েছে কিনা তা আপনি কীভাবে নির্ধারণ করবেন সে সম্পর্কে আপনাকে ভাবতে হবে, যাটি আপনাকে ইতিবাচক ফলাফল এনে দেয় ।


আপনার সমাধানের সাফল্য পরিমাপ করুন

আপনার সমাধানের সাফল্যের মূল্যায়ন করা একটি জরুরি কাজ । আপনি যে সমাধানট নিয়ে কাজ করেছেন সেটি কি সঠিক ভাবে লক্ষ্য পুরন করেছে ? আপনার সমাধানটি কি ব্যয় কমিয়েছে ? আপনার সমাধানটি বাজেটের মধ্যেই আছে ?  - কারণ এটি আপনাকে পরিষ্কার বোঝাবে যে আপনার সমাধানটি সঠিক কিনা, অথবা আপনাকে নতুন করে ভাবতে হবে এবং পদক্ষেপ নিতে হবে। সমস্যা সমাধানের মূল অংশটি হচ্ছে আপনাকে অবশ্যই ভুলহীন ভাবে কাজ করার জন্য প্রস্তুত হওয়া - এবং আপনার ভুলগুলি থেকে শিখতে হবে।


মনে রাখবেন যে সব সমস্যা হ'ল একেকটি ধাঁধা  যা ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করলে সহজ সমাধানের পাওয়া যাবে ।আপনার সমস্যা-সমাধানের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এই ছয়টি পদক্ষেপ অনুশীলন করুন। পরবর্তীতে আপনি অনুধাবন করতে পারবেন যে আপনার সমস্যা-সমাধানের সক্ষমতাগুলি অন্যদের মাধ্যমে মূল্যায়িত হচ্ছে।

লেখক পরিচিতি

আশরাফুল মাখলুকাত 
অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ, এএইচআর
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ইমেইলঃ ashrafulcuhrm@gmail.com
(এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত সব ছবিই সংগৃহীত ও প্রতিকী অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে)







শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০

হার্ড ওয়ার্ক নয়, স্মার্ট ওয়ার্ক করুন !!!

 

কঠোর পরিশ্রম করা স্বত্বেও আমরা অনেকেই সফলতার স্বাদ নিতে পারছি না । আমরা অনেকেই চিন্তা করি কিভাবে আমরা জীবনে সফল হবো। কোনো কাজই ছোট না । সকল পেশার  মানুষের প্রতি সন্মান রেখেই বলছি ধরুন একজন রিকশাওয়ালা কঠোর পরিশ্রম করার পরেও সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে্ন, অন্যদিকে একজন ফ্রিল্যান্সার ঘরে বসে ডলার আয় করছেন। আসলে দুইটা সম্পূর্ন আলাদা পেশা এবং আলাদা কর্ম দক্ষতার দুইজন ব্যক্তি কিন্তু বিষয়টি বোঝানোর  উদ্দেশ্যেই কথাগুলো বলা। একটি স্মার্ট ওয়ার্ক অন্যটি হার্ড ওয়ার্ক।

 স্মার্ট ওয়ার্ক সম্পর্কে  বিখ্যাত গ্রন্থ "দ্যা গ্রেট পার্ল অব  উইজডম" এর লেখক  বঙ্গম্বী হবিয়ারীমন বলেন,

"সর্বাধিক সফল ব্যক্তিরা স্মার্ট কাজ করে, হার্ড ওয়ার্ক নয়"




আমরা যদি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজগুলো যদি সঠিক পরিকল্পনা এবং পূর্ব পরিকল্পনার মাধ্যমে করতে পারি তাহলে সাফল্য আসতে বাধ্য। শুধুমাত্র কঠোর পরিশ্রম দিয়ে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব নয়, এর পাশাপাশি আপনাকে কাজটি স্মার্ট ধারনা থাকতে।

দিন শুরু করুন রুটিন মেনে

প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ঠ রুটিন নিয়ে আপনার সকাল শুরু করার চেষ্টা করুন। আপনার ডেস্কে বসার আগে কিছুটা সময় আপনার কাজের ক্ষেত্রটি ঘুরে দেখে নিতে পারেন বা পেশাদার মনোভাব বিকাশের জন্য ভালো কোনো বইয়ের কিছুটা পংক্তি পড়ে আপনার দিন শুরু করতে পারেন। দিনের শুরুতে কিছুটা মেডিটেশন করে নিতে পারেন যাতে আপনার কাজে মনোযোগ বাড়ানোর সাথে সাথে কাজের চাপ নিতে এবং কঠিন সময়ে মেজাজ ধরে রাখতে সাহায্য করেবে। প্রতিটি দিন শুরু হোক রুটিন মাফিক স্মার্টভাবে।

আপনার কার্য তালিকা সংক্ষিপ্ত রাখুন

আপনার দিনের কাজের তালিকাটি সংক্ষিপ্ত রাখুন। দিনের জন্য  নির্দিষ্ট তিন থেকে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জিং কার্যগুলিতে মনোনিবেশ করুন। আপনার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আপনার মধ্যে উদ্দমী মনোভাব কাজ করবে। এরপর কম গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলিতে মনোনিবেশ করুন।

দিনটি শেষ হোক রুটিন মেনেই

দিনের শুরুতে যেমন পরিকল্পনা করে কাজ শুরু করেছিলেন ঠিক সেইভাবেই দিন শেষ করার পরিকল্পনা করে রাখতে পারেন। দিন শেষে ঠিক করুন পরবর্তি দিন যে সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবেন। অফিস থেকে বের হওয়ার আগেই অবশ্যই নিজের ডেক্স গুছিয়ে বের হবেন যাতে পরবর্তি দিন কোনো গুরুত্বপূর্ণ জিনিস খুঁজে বের করতে বেশি সময় নষ্ট না হয়।

 সকল প্রকার অ্যালার্ম বা অ্যলার্ট বন্ধ রাখুন

আপনার কাজের উপর ফোকাস করার প্রয়োজন হলে আপনার মোবাইল অ্যালর্ম বা ক্যালেন্ডার অ্যালার্ট বন্ধ রাখুন। এরফলে আপনার দিনটির অপ্রত্যাশিত বিঘ্ন থেকে মুক্ত রাখবে এবং আপনার কাজটি সম্পাদনের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন।

দ্রুত রেস্পন্স করুন

প্রতিটি কাজের দ্রুত রেস্পন্স করার অভ্যাস গড়ে তুলুন, যদি কোনো কাজ আপনাকে দিয়ে করা অসম্ভব হয় সেটিও ইতিবাচক ভাবে জানিয়ে দিন। আপনার কাছে যদি মেইল আসে যেটির জবাব প্রয়োজন, অবিলম্বে সেটির জবাব দিন। যদি আপনার কাছে সঠিক জবাব না থাকে তাহলে সময় চেয়ে নিন এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনার ফিডব্যক জানান। এটি শুধুমাত্র মেইলের ক্ষেত্রে না, দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রেও যেকোনো বিষয়ে দ্রুত রেস্পন্স করুন।  

শেষ হওয়া কাজের তালিকা রাখুন

একটি দিনের মধ্যে আপনি যে কাজগুলো শেষ করছেন তার একটি চলমান তালিকা রাখুন। এটি আপনাকে অনুপ্রেরণা এবং সাফল্য বোধ করতে সহায়তা করবে। এই তালিকাটি ভবিষ্যতে অনুরূপ কাজ করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা হিসেবে  সাহায্য করবে।চ

যোগাযো দক্ষতা বৃদ্ধি করুন

 যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকার দিন। আপনি যখন নিজের কাজ করছেন পাশাপাশি আপনার সহকর্মী বা আপনার বস আপনাকে বিভিন্ন রকম নির্দেশনা দিতে পারেন, সেক্ষেত্রে নিজের কাজের পাশাপাশি অন্যদের প্রশ্নের সঠিক জবাব দিন । দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রে আমরা যখন সহকর্মীদের মেইল করে থাকি তখন মেইলের ভাষা সংক্ষিপ্ত রাখার পাশাপাশি মুল বক্তব্য তুলে ধরুন।

ফলাফল নির্ভর মিটিং করুন

প্রতিষ্ঠানের কাজের ক্ষেত্রে মিটিং প্রায়শই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠে এবং প্রতিটি মিটিংই নির্দিষ্ঠ কিছু পরিকল্পনা নিয়েই হয়ে থাকে।মিটিং করার পূর্বেই মিটিংয়ের এজেন্ডা তৈরী করুন। মিটিংয়ের এজেন্ডা অবশ্যই ফলাফল নির্ভর হতে হবে। মিটিংটিকে যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত এবং ফলাফল নির্ভর। মিটিং কখনো দীর্ঘ সময় বা সল্প সময়ের জন্য করা ঠিক নয় । মিটিং-এর একটি নির্দিষ্ট মাত্রার সময় থাকতে হবে যেমন দেড় ঘন্টা থকে দুই ঘন্টা। আপনি যদি দীর্ঘ সময় মিটিং-এ ব্যয় করেন তাহলে আপনার  দৈনন্দিন কাজে প্রভাব পড়বে। মিটিং শেষে অবশ্যই মিটিং-এ আলোচিত বিষয় এবং সিদ্ধান্তগুলো মিটিং মিনিটসের মাধ্যমে সভায় উপস্থিত ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছিয়ে দিন। যার ফলে পর্বতিতে সভার প্রতিটি বিষয় ফলো-আপ করতে সুবিধা হবে।

দেড় ঘন্টা থেকে দুই ঘন্টার ব্লকে কাজ করুন

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে আমাদের মস্তিষ্ক একবার ৯০ মিনিটের জন্য ফোকাস ধরে রাখতে সক্ষম। আপনার দিনটিকে দেড় ঘন্টা বা দুই ঘন্টার তিন থেকে চার অংশে ভাগ করার বিষয়ে বিবেচনা করুন। এটি আপনাকে আপনার সামগ্রিক উত্পাদনশীলতাকে ফোকাস করতে এবং আপনার মস্তিষ্কের প্রাকৃতিক ক্ষমতা সর্বাধিক করে তুলতে সহায়তা করবে। এছাড়াও, নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি আপনার বিরতির সময়সূচী মেনে চলেছেন এবং আপনার ৯০ মিনিটের কাজের সময়কালে আপনার কাজের প্রতি মনোনিবেশিত থাকুন। এই কাজের সময় নিশ্চিত করুন যাতে আপনার ফোন বা মেইল আপনার কাজের ক্ষেত্রে যাতে প্রভাব না ফেলে।

একটি কাজে মনোনিবেশ করুন

বেশকিছু গবেষনা দেখিয়েছে যে আপনি যখন একটি কাজ থেকে অন্য কাজে চলে যান তখন আপনি আসলে সময় নষ্ট করেন কারণ আপনার মস্তিষ্কের কার্যগুলি স্যুইচ করতে এবং এর ফোকাস পরিবর্তন করতে সময় লাগে। মাল্টি-টাস্কের আবেগকে প্রতিহত করুন, এর পরিবর্তে আপনার সমস্ত মনোযোগ একটি কাজের দিকে নিয়োজিত করুন। প্রথম কাজটি শেষ করেই পরবর্তি কাজে ফোকাস করুন।

 সংক্ষিপ্ত সময়সীমা সেট করুন

আপনার কাজের জন্য সর্বদা যুক্তিসঙ্গত সময়সীমা নির্ধারণ করা উচিত, একটি কাজকে সমাপ্ত করার জন্য প্রথমে কাজটি কয়কটি ভাগে ভাগ করুন এবং প্রতিটি কাজের ছোটো ছোটো সময়সীমা নির্ধারন। এই কৌশলটি প্রায়শই দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে যার সাহায্যে আপনি য়াপনার কাজগুলি সফলভাবে শেষ করতে সক্ষম হবেন।

কাজের চাপ কমাতে কৌশলী হোন

কাজের চাপ কমাতে বই পড়া, মেডিটেশন করা, গান শোনা বা ইয়োগা করার কৌশলগুলি অনুশীলন করুন। এই কৌশলগুলি আপনার শারীরিক, মানসিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ভালো প্রভাব ফেলবে এবং এটি আপনার কর্মক্ষেত্রের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এই কৌশলগুলি আপনাকেএমন চাপের সাথে লড়াই করতে সহায়তা করবে।

 
লেখকঃ মোঃ আশরাফুল মাখলুকাত  
অ্যাসিস্টেন্ট এক্সিকিউটিভ, এএইচআর
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ইমেইলঃ ashrafulcuhrm@gmail.com





মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০

নিজেকে প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রহনযোগ্য করে তুলুন

 বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে আপনি এমন লোকেদের দেখতে পাবেন যারা একই সাথে একই পদে নিয়োগ পান, তবুও তাদের মধ্যে কিছু ব্যক্তি নেতৃত্ব দেন, অন্যরা পিছিয়ে থাকেন। এই নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিরা তাদের আশ্চর্যজনক কাজ করার ক্ষমতা এবং তাদের নম্র আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় স্থান অর্জন করেন।

এই বিষয়ে মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলা বলেন, 

"মাইক্রোসফটে যোগ দিয়েছি ১৯৯২ সালে। সব সময় ভেবেছি, আমি একটা দারূণ কাজ করছি, হতে পারে এটাই আমার শেষ কর্মস্থল, প্রতিদিন একই রকম কৌতূহল, শক্তি, শেখার আগ্রহ নিয়ে দিন শুরু করার মানসিকতা সম্ভবত আমার সহজাত মানুষ যখন উপদেশ চায়, সবসময় বলি তোমার সেরাটা দেওয়ার জন্য পরের চাকরির জন্য অপেক্ষা করো না, এখন যা করছ, সেখানেই সেরাটা দাও।"

নিজেকে প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রহনযোগ্য করার কিছু পরামর্শ আমরা জেনে নিচ্ছি। 


সৃজনশীল চিন্তা করুনঃ

কোনো প্রতিষ্ঠানকে আপনার সঠিক মূল্য বুঝানোর সবচেয়ে বড় উপায় হলো কিছু সৃজনশীল,মৌলিক ধারণা বা আইডিয়া দেওয়া যা প্রতিষ্ঠানের উন্নতিতে অবদান রাখে।  প্রতিষ্ঠানকে নতুন এবং সৃষ্টিশীল  আইডিয়া  দিন যেটা সম্পর্কে  পূর্বে কখনো আলোচনাও হয়নি এবং যেটা প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য অর্জন করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।  প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রকল্প সম্পর্কে আপনার মতামত প্রকাশ করতে দ্বিধা করবেন না।কোনো বিষয়ে আপনার মতবিরোধ থাকতেই পারে, তবে আপনি সেটিকে সঠিক পদ্ধতিতে উপস্থাপন করবেন।



নতুন দক্ষতা শেখার চেষ্টা করুনঃ

একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মীগণ সর্বদা তাদের কাজের ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকতে নতুন নতুন স্কিল শিখে রাখে। যেটা তাদেরকে পরিণত কর্মীতে রুপান্তর করে । নতুন দক্ষতা শিখতে তাদের আগ্রহ আছে কারণ তারা জানে যে সেরা বিনিয়োগ হচ্ছে নিজের দক্ষতা বাড়ানো।

সুতরাং, প্রতিষ্ঠানের কাছে নিজেকে একটি মূল্যবান সম্পদ রুপে তুলে ধরার জন্য জন্য, আপনাকে কখনই নতুন স্কিল শেখা থেকে বিরত থাকা উচিত নয়।এমন অনেক নতুন দক্ষতা রয়েছে যা আপনাকে কাজের ক্ষেত্রে সহায়তা করবে, যেমন হতে পারে নতুন প্রোগ্রামিং ভাষা, বা হতে পারে একটি নতুন প্রযুক্তি শেখা। কোনো নতুন দক্ষতা শেখার জন্য কিছু অর্থ ব্যয় করতে কখনও দ্বিধা করবেন না। এটি এমন একটি বিনিয়োগ যা আপনার ক্যারিয়ারে অদূর ভবিষ্যতে এটির ফল পাবেন।


অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও বিনয়ী হওয়াঃ

কাজে প্রতিযোগিতামূলক হওয়া এবং লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ করা খুব ভালো তবে আপনার মধ্যে যদি অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা, সহানুভূতিশীলতা এবং মানবিক গুণাবলীর ঘাটতি থাকে - তবে আপনার অন্যসব ভালো কাজের গুরুত্ব থাকে না।

কোনো কোম্পানির একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সব থেকে ছোট পদে কাজ করা কর্মী প্রতি শ্রদ্ধা ও সৌজন্য দেখানো তার চরিত্রের কথা বলে। ভালো ব্যবহার শুধুমাত্র আপনাকে ভালো কর্মী হিসেবে প্রতিষ্টিত করেই না, বরং একজন ব্যক্তি হিসেবেও আপনাকে অন্যের কাছে পছন্দনীয় করে তোলে। সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিগণ সবসময় অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং বিনয়ী হয়।

অন্যকে সাহায্য করুনঃ

আপনি নিজেকে প্রতিষ্ঠানের সম্পদ হিসেবে দেখানোর জন্য  আপনার সহকর্মীদের প্রতি অবহেলা করবেন না। তাদের প্রতিও সহনশীল হওয়া ব্যঞ্জনীয়। কখনও কখনও, শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সাফল্য প্রকৃত বিজয় হিসেবে গন্য হয় না । নিজের কাজের সাফলাতার পাশাপাশি আপনার সহায়তায়  যদি অন্যরাও সফল হয় সেটা আপনাকে আরো যোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে এবং আত্মতুষ্টি দিবে।

সফল কর্মীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো তারা টিম প্লেয়ার হিসেবে কাজ করেন। অন্যকে সাহায্য করার জন্য তারা কখনো ভয় পান না।অন্যকে সাহায্য করার মাধ্যমে আপনি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন যা কর্মক্ষেত্রে আপনার সাফল্যের সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয়।

অন্যের মতামতকে সম্মান করুনঃ

আমরা সকলেই আমাদের নিজ নিজ ক্যারিয়ারে কমপক্ষে এক দুবার ভুল করে থাকি। এটি সম্পূর্ণরূপে ঠিক আছে এবং ভুল করা গ্রহণযোগ্য। সামগ্রিকভাবে, আমরা ভুল থেকে সঠিক কাজগুলি করতে শিখি।কেউ যদি আপনার কোনো কাজ পছন্দ না করেন, তাহলে তার মতামতকে গুরুত্ব দিন যদি আপনার কোনো বিষয়ে ঘটতি থাকে সেটি দ্রুত শুধরে নিন।

সফল কর্মীরা তাদের ভুলগুলি থেকে শিখেন এবং সবসময় গঠনমূলক মতামত গ্রহন করে থাকেন। তারা এটিকে ব্যক্তিগতভাবে কখনই নেন না, বরং তারা এটিকে নিজেদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করেন।

কথা নয়, কাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুনঃ

সফল কর্মীরা নিঃশব্দে কঠোর পরিশ্রম করে এবং তাদের সাফল্যই তাদের পক্ষে কথা বলে। তারা কখনো নিজের যোগ্যতার কথা প্রচার করেন না , তাদের কাজের দক্ষতা তাদেরকে অন্যের কাছে গ্রহনযোগ্য করে তোলে। তারা অন্যদের সাথে ইদুর দৌড়ে সামিল করেন না এবং নিজের ফলাফল অন্যের সাথে তুলনা করেন না। তারা নিজেকে পূর্বের স্থান থেকে কতোটুকু উন্নতি করতে পারলেন সেটার উপর গুরুত্ব দেন।


প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পারফর্ম করুনঃ

এটি সম্ভবত এমন একটি বৈশিষ্ট্য যা সাধারন কর্মীর মধ্য থেকে সেরা কর্মীকে স্পষ্টভাবে আলাদা করে দেয়। প্রতিষ্ঠানের একটি সম্পদ হওয়ার জন্য সর্বদা আপনাকে প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পারফর্ম করতে হবে। আন্ডারপ্রোমাইজ এবং ওভারডেলিভার। সর্বদা যে অতিরিক্ত মাইল যেতে হবে।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনার প্রতিষ্ঠান আপনাকে একটি লোগো প্রস্তুত করার দায়িত্ব দিলো। আপনি শুধুমাত্র ১ টা লোগো প্রস্তুত না করে যদি আরো ৪/৫ টা ডিজাইন আপনার সুপারভাইজর বা বসকে দেখান  তাহলে সে আরো বেশি খুশি হবে এবং সেখান থেকে প্রতিষ্ঠান সঠিক ডিজাইন নির্বাচন করতে অনেকগুলো অপশন পাবে।

(আপনি যদি নিজেকে নিজের প্রতিষ্ঠানের গ্রহনযোগ্য এবং মূল্যবান সম্পদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে আগ্রহী হন, তবে আমি নিশ্চিত যে উপরে বর্ণিত পরামর্গুশলি আপনার পক্ষে সহায়ক হবে।)


লেখকঃ মোঃ আশরাফুল মাখলুকাত   
অ্যাসিস্টেন্ট এক্সিকিউটিভ, এএইচআর
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ইমেইলঃ ashrafulcuhrm@gmail.com
(এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত সব ছবিই  সংগৃহীত ও প্রতিকী অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে)